ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান। সম্প্রতি তেহরানে গোপন নিরাপত্তা বৈঠক চলাকালে ভয়াবহ হামলাটি চালানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম ফার্স নিউজ এজেন্সি। হামলাটি চালানো হয় ১৬ জুন রাতে, যখন ইসরায়েল ও ইরান রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্বে জড়িত ছিল।
হামলাটি চালানো হয় তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলের শহরাক-এ ঘারব এলাকার একটি ভবনে, যেখানে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক গোপন বৈঠক চলছিল।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের পায়ে আঘাত লাগে এবং তার সঙ্গে থাকা ইরানের প্রধান বিচারপতি ও পার্লামেন্ট স্পিকারও আংশিক আহত হন। কর্মকর্তারা ভবনের জরুরি বহির্গমন (ইমার্জেন্সি হ্যাচ) দিয়ে বেরিয়ে যান, কারণ হামলার ফলে নিচতলার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হামলার ধরন ছিল একেবারে ২০২৪ সালে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার জন্য চালানো ইসরায়েলি অভিযানের মতোই।
ফার্স নিউজের বরাতে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, আক্রমণের নির্ভুলতা দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে, গোপন বৈঠকের সময় ও স্থান হয়তো কোনও ‘মৌল’ বা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ফাঁস হয়েছে। বিষয়টি এখন ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এই হামলা ছিল ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের এক সর্বাত্মক যুদ্ধের অংশ। এ যুদ্ধে ইসরায়েল আইআরজিসির প্রধান হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, এবং আইআরজিসি বিমান শাখার কমান্ডার আমির আলি হাজিজাদেহকে হত্যা করেছে।