নতুন করে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার হুমকি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি। শুক্রবার (১১ জুলাই) হুমকি দিয়ে তিনি বলেছেন, যদি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত আমেরিকান সামরিক ঘাঁটিতে আবারও হামলা চালানো হতে পারে।
খামেনেয়ির কথায়, “আল উদেইদ ঘাঁটিতে হামলা কোনো ছোট ঘটনা নয়; বরং এটা একটি বড় পদক্ষেপ, যা আবারও পুনরাবৃত্তি হতে পারে।”
গত মাসে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি ‘আল উদেইদ’-এ ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রসঙ্গ টেনে খামেনেয়ি বলেন, “আমরা অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর সক্ষমতা রাখি।”
এই হামলা ছিল ইরানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জবাব। তেহরান শুরু থেকেই বলে আসছিল, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র মিলে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কার্যক্রম ধ্বংস করার চেষ্টা করছে, যার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন শুক্রবার আল-আরাবিয়া ইংরেজিকে নিশ্চিত করেছে যে, ইরানের ছোড়া অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র আল উদেইদ ঘাঁটির লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ঘাঁটিটির একটি রেডোম—যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সামরিক যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত থাকে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘাঁটিই যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকম-এর ফরোয়ার্ড সদর দপ্তর, যেখান থেকে গোটা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে মার্কিন সামরিক কার্যক্রম সমন্বয় করা হয়।
ইরানের এই হামলার কিছুক্ষণ পরেই এক বিবৃতিতে মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন বলেন, “আমরা জানি, আমাদের একাধিক স্তরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভেতর দিয়েও কিছু একটা প্রবেশ করেছিল।”
তিনি আরও জানান, এই হামলাটি ছিল মার্কিন সামরিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক প্যাট্রিয়ট মিসাইল প্রতিরক্ষা অভিযানের উদাহরণ। এ সময় আরও বড় ক্ষতি থেকে ঘাঁটিটিকে রক্ষা করায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের তিনি প্রশংসা করেন।